প্রাইমারির নিয়োগ ২০২৩ শেষ হতে শূণ্য পদের সংখ্যা ৪০ হাজার ছাড়বে, বর্তমান শূণ্যপদ প্রায় ৩৮ হাজার
প্রাইমারির নিয়োগ কার্যক্রম ২০২৩ শেষ হতে শূণ্য পদের সংখ্যা ৪০ হাজার ছাড়বে । প্রাথমিক বিদ্যালয়ে এখন শূণ্য পদ ৩৭ হাজার ৯২৬টি: সংসদে প্রতিমন্ত্রীর ভাষ্য
দেশে বর্তমানে প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সংখ্যা কয়টি?
বাংলাদেশে বর্তমানে প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সংখ্যা ৬৬ হাজার ৫৬৬টি। ৬ জুন ২০২৩ জাতীয় সংসদের প্রশ্নোত্তরে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা প্রতিমন্ত্রী জাকির হোসেন এ তথ্য জানান।
স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে প্রশ্নোত্তর টেবিলে উপস্থাপন করা হয় এবং ধারাবাহিক উত্তরে প্রাথমিক বিদ্যালয় এর নিয়োগ প্রক্রিয়া ছাড়াও কিছু তথ্য প্রকাশ করেন।
সংসদ সদস্য আবুল কালাম আজাদের প্রশ্নের জবাবে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা প্রতিমন্ত্রী বলেন, শূন্যপদগুলো পূরণ করার পরিকল্পনা সরকারের রয়েছে। প্রধান শিক্ষকের সরাসরি নিয়োগযোগ্য এক হাজার ৯৫৫টি শূন্য পদে নিয়োগের জন্য জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় হতে গত ৪ জানুয়ারি ২০২৩ বাংলাদেশ সরকারি কর্মকমিশনে চাহিদা পাঠানো হয়েছে। এর আগে প্রধান ও সহকারী শিক্ষক মিলে শূণ্য পদের তালিকা ৭ হাজার দেখালেও শূণ্য পদ নিয়োগ কার্যক্রম শেষ হতে প্রায় ৪০ হাজার ছেড়ে যাবে।
তিনি জানান, রংপুর,বরিশাল ও সিলেট বিভাগে সহকারী শিক্ষক নিয়োগের জন্য গত ২৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৩ পত্রিকায় বিজ্ঞাপন দেওয়া হয়েছে।
রাজশাহী, খুলনা ও ময়মনসিংহ বিভাগের নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি গত ২৩ মার্চ পত্রিকায় প্রকাশ করা হয়েছে।
সহকারী শিক্ষক নিয়োগের জন্য ঢাকা ও চট্টগ্রাম বিভাগের নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের কার্যক্রম চলমান রয়েছে তিনি আরো জানান শিঘ্রই ৩য় ধাপের সার্কুলার পেয়ে যাবে চাকরি প্রার্থীরা।
জাতীয় পার্টির সংসদ সদস্য পীর ফজলুর রহমানের আরেক প্রশ্নে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা প্রতিমন্ত্রী বলেন,
বর্তমান প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকের সংখ্যা ৪ লাখ ২৭ হাজার ৯৭১টি। এর মধ্যে কর্মরত রয়েছেন ৩ লাখ ৯০ হাজার ৪৫টি।
প্রশ্নের জবাবে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা প্রতিমন্ত্রী হাজী মো. সেলিমের জানান— দেশে বর্তমানে কোনও রেজিস্টার্ড বেসরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় নাই।
বর্তমানে দেশে ২টি নারী বিশ্ববিদ্যালয় আছে। যার মধ্যে একটি বেসরকারি ও অন্যটি আন্তর্জাতিক নারী বিশ্ববিদ্যালয়।
সরকার দলীয় সংসদ সদস্য নাছিমুল আলম চৌধুরী বলেন, উচ্চ শিক্ষা পর্যায়ে শিক্ষা সনদ জালিয়াতি বন্ধে একটি অটোমেশন সফটওয়্যার প্রবর্তনের কাজ চলমান রয়েছে। সফটওয়্যারটি চালু হলে বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়ের শিক্ষার্থীদের সকল তথ্য সংরক্ষণ করা সম্ভব হবে এবং অনলাইনে পৃথিবীর যেকোনও স্থান থেকে সনদ যাচাই করা যাবে। এতে সনদ জালিয়াতি বন্ধ করা সম্ভব হবে। তিনি বলেন, শিক্ষা সনদ জালিয়াতির বিষয়ে অভিযোগ পাওয়া গেলে সর্বোচ্চ আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়ে থাকে। ইতোমধ্যে জাল সনদধারী ৬৭৮ জন শিক্ষক-কর্মচারীর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।
প্রশ্নের জবাবে শিক্ষামন্ত্রী জানান, ২০২৩-২৪ অর্থবছরে নতুন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান এমপিওভুক্তির জন্য ২০০ কোটি টাকা বরাদ্দ রাখা হয়েছে। ২০২২-২৩ অর্থবছরেও একই পরিমাণ টাকা বরাদ্দ রাখা ছিল বলে জানান তিনি।
মন্তব্যসমূহ
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন
tnx for commet..